ভোলা প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভোলায় ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার মাছ এবং ১০ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, ঝড়ে সৃষ্ট জোয়ারে জেলার সাত উপজেলায় ৩ হাজার ১৮টি পুকুর-ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আয়তন ৪৩৭ হেক্টর। এতে ভেসে গেছে ৬৮৩ মেট্রিক টন মাছ ও ১৬ লাখ মাছের পোনা। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর ও ঘেরের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮০টি পুকুর থেকে ২৫৯ টন মাছ এবং অবকাঠামো মিলে ক্ষতি পরিমাণ ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। দৌলতখান উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা ৯৫টি। এখানে ৭৪ মেট্রিক টন মাছ ও অবকাঠামোসহ এক কোটি ৬১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা ৩২০টি। এখানে ভেসে গেছে ৪০ মেট্রিক টন মাছ এবং অবকাঠামোসহ ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তজুমদ্দিন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ২৫০টি পুকুর-ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ৭৩ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। অবকাঠামো মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লালমোহন উপজেলায় জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৮০টি পুকুর। এতে প্রায় ৮০ টন মাছ ভেসে গেছে। অবকাঠামোসহ এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। চরফ্যাশন উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর-ঘেরের সংখ্যা ৩২৬টি। এখানে ৫০ টন মাছ ও অবকাঠামো মিলে ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। এছাড়া মনপুরা উপজেলায় ৬৬৫টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেসে গেছে ১৯৫ টন মাছ। এ উপজেলায় অবকাঠামোসহ মাছের ক্ষতি ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এদিকে ঝড়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এদের কেউ আবার ধার-দেনা বা ঋণ নিয়ে পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ঝড়ের কারণে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা আমরা ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা এলে আমরা তা বিতরণ করবো।
Leave a Reply